টানা ২০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কোরবানি দিয়ে আসছেন রমজান আলী (৬০)। এবারও কোরবানির জন্য ভাগে একটি গরু কিনেছেন তিনি। এর আগে ১১ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কোরবানি করেছেন তিনি। রমজান আলী চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌর এলাকার চৌধুরীপাড়ার মৃত ইউনুস আলীর ছেলে। এলাকার মানুষ তাকে ‘জয় বাংলা’ বলে ডাকেন। তিনি সাইকেল মেরামতের কাজ করেন।
স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচণ্ড ভক্ত রমজান আলী। তাই ছোটবেলা থেকে আওয়ামী লীগের সব মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নেন তিনি। শুধু তাই নয় দলের জন্য তার ভালোবাসা দেখে খুশি হয়ে শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র কারিবুল হক রাজিন তার নামে ‘জয় বাংলা’ নামে একটি চত্বর বানিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে রমজান আলী বলেন, অনেকে আমাকে পাগল বলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্য পাগল বললেও আমার ভালো লাগে। এজন্যই আমার নাম রমজান আলী হলেও সবাই ‘জয় বাংলা’ নামেই চেনে। এতে আমি গর্ববোধ করি। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে ১১টি কোরবানি দিয়েছি। পরে জানতে পারলাম মৃত মানুষের নামে কোরবানি করা যায় না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২০ বছর ধরে কোরবানি দিয়ে আসছি। এবারও দেবো।
তিনি বলেন, এবার এক লাখ পাঁচ হাজার টাকায় দিয়ে একটি গরু কিনেছি। সাত নামে গরুটি কোরবানি হবে। আমার অংশটি শেখ হাসিনার নামে কোরবানি হবে। রমজান আলী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি এ জন্য ২০১৪ সালে আমার দোকান ভাঙচুর করা হয়। ১৯৯১ সালে আমি বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারে রাজশাহীতে ১০ বছর কাটিয়েছি।
এদিকে তোফায়েল আহম্মেদ নামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি রমজানের বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা। দিন-রাত দলের জন্য কাজ করেন। আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর নামে কোরবানি দিতেন। এখন শেখ হাসিনার নামে কোরবানি দিচ্ছেন। এমন মানুষ এলাকায় আর নেই।
শিবগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, রমজান আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। দলকে খুব ভালোবাসেন তিনি। তিনি প্রতি বছর শেখ হাসিনার নামে কোরবানি দিয়ে থাকেন। তার কোনো লোভ নেই। দলের কাছে কোনো কিছু প্রত্যাশা করেন না তিনি।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কারিবুল হক রাজিন বলেন, রমজান আলী বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে কোরবানি দেন। পৌরসভার পাশে রমজান গড়ে তুলেছিলেন ‘জয় বাংলা’ সংগ্রাম পরিষদ। তাই সেখানে ‘জয় বাংলা’ চত্বর করে দেওয়া হয়েছে।